আর নাই রে , প্রেম ৮৪ | Ar nai re

আর নাই রে , প্রেম ৮৪ | Ar nai re  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।

আর নাই রে , প্রেম ৮৪ | Ar nai re

রাগ: ইমন-কীর্তন

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩ ভাদ্র, ১৩১৬

 

আর নাই রে , প্রেম ৮৪ | Ar nai re
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আর নাই রে:

আর নাই রে বেলা, নামল ছায়া ধরণীতে।

এখন চল্‌ রে ঘাটে কলসখানি ভরে নিতে।

জলধারার কলস্বরে সন্ধ্যাগগন আকুল করে,

ওরে, ডাকে আমায় পথের ‘পরে সেই ধ্বনিতে॥

এখন বিজন পথে করে না কেউ আসা যাওয়া

ওরে, প্রেমনদীতে উঠেছে ঢেউ, উতল হাওয়া

জানি নে আর ফিরব কিনা, কার সাথে আজ হবে চিনা–

ঘাটে সেই অজানা বাজায় বীণা তরণীতে॥

 

আর নাই রে , প্রেম ৮৪ | Ar nai re
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

আর নাই রে , প্রেম ৮৪ | Ar nai re
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন