আর রেখো না , পূজা ১৯২ | ar rekho na

আর রেখো না , পূজা ১৯২ | Ar rekho na রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।

 

আর রেখো না , পূজা ১৯২ | Ar rekho na
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আর রেখো না , পূজা ১৯২ | Ar rekho na

রাগ: দেশ

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৭ বৈশাখ, ১৩৩৩

 

আর রেখো না:

 

আর রেখো না আঁধারে, আমায় দেখতে দাও।

তোমার মাঝে আমার আপনারে দেখতে দাও ॥

কাঁদাও যদি কাঁদাও এবার, সুখের গ্লানি সয় না যে আর,

নয়ন আমার যাক-না ধুয়ে অশ্রুধারে–

আমায় দেখতে দাও ॥

জানি না তো কোন্‌ কালো এই ছায়া,

আপন ব’লে ভুলায় যখন ঘনায় বিষম মায়া।

স্বপ্নভারে জমল বোঝা, চিরজীবন শূন্য খোঁজা–

যে মোর আলো লুকিয়ে আছে রাতের পারে

আমায় দেখতে দাও।

 

 

আর রেখো না , পূজা ১৯২ | Ar rekho na
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত। ৬৪ খণ্ডে প্রকাশিত স্বরবিতান গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

আর রেখো না , পূজা ১৯২ | Ar rekho na
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন