ওরে ভীরু , পূজা ২৪১ | Ore vhiru

ওরে ভীরু , পূজা ২৪১ | Ore vhiru  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

 

ওরে ভীরু , পূজা ২৪১ | Ore vhiru

রাগ: খাম্বাজ

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৯ আশ্বিন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯১৪

 

ওরে ভীরু:

 

ওরে ভীরু, তোমার হাতে নাই ভূবনের ভার।

হালের কাছে মাঝি আছে, করবে তরী পার ॥

তুফান যদি এসে থাকে তোমার কিসের দায়–

চেয়ে দেখো ঢেউয়ের খেলা, কাজ কি ভাবনায়?

আসুক-নাকো গহন রাতি, হোক-না অন্ধকার–

হালের কাছে মাঝি আছে, করবে তরী পার ॥

পশ্চিমে তুই তাকিয়ে দেখিস মেঘে আকাশ ডোবা,

আনন্দে তুই পুবের দিকে দেখ্‌-না তারার শোভা।

সাথি যারা আছে তারা তোমার আপন ব’লে

ভাবো কি তাই রক্ষা পাবে তোমারি ওই কোলে?

উঠবে রে ঝড়, দুলবে রে বুক, জাগবে হাহাকার–

হালের কাছে মাঝি আছে, করবে তরী পার ॥

 

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন