কর্ম কবিতাটি [ kormo kobita ] কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চৈতালী-কাব্যগ্রন্থের অংশ।
কাব্যগ্রন্থের নামঃ চৈতালী
কবিতার নামঃ কর্ম

কর্ম কবিতা । kormo kobita | চৈতালী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভৃত্যের না পাই দেখা প্রাতে।
দুয়ার রয়েছে খোলা, স্নানজল নাই তোলা,
মূর্খাধম আসে নাই রাতে।
মোর ধৌত বস্ত্রখানি কোথা আছে নাহি জানি,
কোথা আহারের আয়োজন!
বাজিয়া যেতেছে ঘড়ি বসে আছি রাগ করি–
দেখা পেলে করিব শাসন।
বেলা হলে অবশেষে প্রণাম করিল এসে,
দাঁড়াইল করি করজোড়।
আমি তারে রোষভরে কহিলাম, “দূর হ রে,
দেখিতে চাহি নে মুখ তোর।”
শুনিয়া মূঢ়ের মতো ক্ষণকাল বাক্যহত
মুখে মোর রহিল সে চেয়ে–

কহিল গদ্গদস্বরে, “কালি রাত্রি দ্বিপ্রহরে
মারা গেছে মোর ছোটো মেয়ে।”
এত কহি ত্বরা করি গামোছাটি কাঁধে ধরি
নিত্যকাজে গেল সে একাকী।
প্রতি দিবসের মতো ঘষা মাজা মোছা কত,
কোনো কর্ম রহিল না বাকি।
আরও দেখুনঃ
কাঠবিড়ালি কবিতা | kathbirali kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মাতা কবিতা | mata kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মরণমাতা কবিতা | moronmata kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
নব পরিচয় কবিতা | nobo porichoy kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাতের দান কবিতা | rater dan kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর