তপোবন কবিতাটি [ tapoban kobita ] কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চৈতালী-কাব্যগ্রন্থের অংশ।
কাব্যগ্রন্থের নামঃ চৈতালী
কবিতার নামঃ তপোবন

তপোবন কবিতা । tapoban kobita | চৈতালী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
মনশ্চক্ষে হেরি যবে ভারত প্রাচীন
পুরব পশ্চিম হতে উত্তর দক্ষিণ
মহারণ্য দেখা দেয় মহাচ্ছায়া লয়ে।
রাজা রাজ্য-অভিমান রাখি লোকালয়ে
অশ্বরথ দূরে বাঁধি যায় নতশিরে
গুরুর মন্ত্রণা লাগি– স্রোতস্বিনীতীরে
মহর্ষি বসিয়া যোগাসনে, শিষ্যগণ
বিরলে তরুর তলে করে অধ্যয়ন
প্রশান্ত প্রভাতবায়ে, ঋষিকন্যাদলে

পেলব যৌবন বাঁধি পরুষ বল্কলে
আলবালে করিতেছে সলিল সেচন।
প্রবেশিছে বনদ্বারে ত্যজি সিংহাসন
মুকুটবিহীন রাজা পক্ককেশজালে
ত্যাগের মহিমাজ্যোতি লয়ে শান্ত ভালে।
আরও দেখুনঃ
- দেবদারু কবিতা | debdaru kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- প্রাণের ডাক কবিতা | praner dak kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- মেঘমালা কবিতা | meghmala kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- রূপকার কবিতা | rupokar kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- ক্ষণিক কবিতা | khonik kobita | বীথিকা কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর