পুণ্যের হিসাব কবিতাটি [ punyer hisab kobita ] কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর চৈতালী–কাব্যগ্রন্থের অংশ।
কাব্যগ্রন্থের নামঃ চৈতালী
কবিতার নামঃ পুণ্যের-হিসাব

পুণ্যের হিসাব কবিতা । punyer hisab Kobita | চৈতালী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাধু যবে স্বর্গে গেল, চিত্রগুপ্তে ডাকি
কহিলেন, “আনো মোর পুণ্যের-হিসাব।”
চিত্রগুপ্ত খাতাখানি সম্মুখেতে রাখি
দেখিতে লাগিল তার মুখের কী ভাব।
সাধু কহে চমকিয়া, “মহা ভুল এ কী!
প্রথমের পাতাগুলো ভরিয়াছ আঁকে,
শেষের পাতায় এ যে সব শূন্য দেখি–

যতদিন ডুবে ছিনু সংসারের পাঁকে
ততদিন এত পুণ্য কোথা হতে আসে!”
শুনি কথা চিত্রগুপ্ত মনে মনে হাসে।
সাধু মহা রেগে বলে, “যৌবনের পাতে
এত পুণ্য কেন লেখ দেবপূজা-খাতে।”
চিত্রগুপ্ত হেসে বলে, “বড়ো শক্ত বুঝা।
যারে বলে ভালোবাসা, তারে বলে পূজা।”
আরও দেখুনঃ
রায়ঠাকুরানী অম্বিকা কবিতা | raythakuranir ombika kobita | খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গাড়িতে মদের পিপে কবিতা | garite moder pipe kobita | খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ট্রাম্ কন্ডাক্টার কবিতা | tram conductor kobita | খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর