যদি তারে নাই চিনি গো সে কি , প্রকৃতি ২৩৬ | Jodi tare nai chini go shey ki

যদি তারে নাই চিনি গো সে কি | Jodi tare nai chini go shey ki গানটি রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি পর্বের একটি গান ,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিল্পচিন্তা ও চেতনায় প্রকৃতি অন্যতম এক অনুষঙ্গ। নানা কথামালায় তিনি বলেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা। সেই কথামালা প্রমাণ করে তিনি কত আগেই না বুঝেছিলেন প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা না করা গেলে মাটি ও মানুষের যে চিরন্তন সম্পর্ক সেটা আর টিকবে না।

যদি তারে নাই চিনি গো সে কি | Jodi tare nai chini go shey ki
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

যদি তারে নাই চিনি গো সে কি | Jodi tare nai chini go shey ki

রাগ: খাম্বাজ-পিলু | তাল: তেওরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৭ মাঘ, ১৩২৯
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

হৃদয়ের ধন কবিতা । hridoyer dhon kobita | মানসী  কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

যদি তারে নাই চিনি গো সে কি :

যদি তারে নাই চিনি গো সে কি আমায় নেবে চিনে

এই নব ফাল্গুনের দিনে– জানি নে জানি নে॥

সে কি আমার কুঁড়ির কানে কবে কথা গানে গানে,

পরান তাহার নেবে কিনে এই নব ফাল্গুনের দিনে–

জানি নে, জানি নে॥

সে কি আপন রঙে ফুল রাঙাবে।

সে কি মর্মে এসে ঘুম ভাঙাবে।

ঘোমটা আমার নতুন পাতার হঠাৎ দোলা পাবে কি তার। ,

গোপন কথা নেবে জিনে এই নব ফাল্গুনের দিনে–

জানি নে, জানি নে॥

 

জাগরণ jagoran [ কবিতা ] -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন। প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট।এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন।

১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ও ভাব তার নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন।

আরও পড়ুন :

মন্তব্য করুন