আমার না বলা বাণীর , পূজা ৫৬ | Amar na bola banir

আমার না বলা বাণীর | Amar na bola banir রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।

আমার না বলা বাণীর , পূজা ৫৬ | Amar na bola banir

রাগ: কীর্তন | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৬ মাঘ, ১৩৩৪
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৯ জানুয়ারি, ১৯২৮
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

আমার না বলা বাণীর , পূজা ৫৬ | Amar na bola banir
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আমার না বলা বাণীর :

আমার না-বলা বাণীর ঘন যামিনীর মাঝে

তোমার ভাবনা তারার মতন বাজে ॥

নিভৃত মনের বনের ছায়াটি ঘিরে

না-দেখা ফুলের গোপন গন্ধ ফিরে,

আমার লুকায় বেদনা অঝরা অশ্রুনীরে–

অশ্রুত বাঁশি হৃদয়গহনে বাজে ॥

ক্ষণে ক্ষণে আমি না জেনে করেছি দান

তোমায় আমার গান।

পরানের সাজি সাজাই খেলার ফুলে,

জানি না কখন নিজে বেছে লও তুলে–

তুমি অলখ আলোকে নীরবে দুয়ার খুলে

প্রাণের পরশ দিয়ে যাও মোর কাজে ॥

 

ভুল ভাঙা কবিতা । bhul bhanga kobita | মানসী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়।

প্রকৃতির প্রতি কবিতা । prokritir proti kobita | মানসী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন