খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্ত্তৃক বাংলা ভাষায় রচিত একটি বিখ্যাত শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার “অন্ত্যপর্ব”-এর অন্তর্গত একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থটি রাজশেখর বসু (পরশুরাম)-কে উৎসর্গ করেন।
খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ কবিতা সূচি
উৼসর্গ
ভূমিকা
ক্ষান্তবুড়ির দিদিশাশুড়ির
অল্পেতে খুশি হবে
পাঠশালে হাই তোলে
কাঁচড়াপাড়াতে এক
দাড়ীশ্বরকে মানত ক’রে
নিধু বলে আড়চোখে
দু-কানে ফুটিয়ে দিয়ে
পাখিওয়ালা বলে
রসগোল্লার লোভে
হাতে কোনো কাজ নেই
মেছুয়াবাজার থেকে
টেরিটি বাজারে তার
ইতিহাসবিশারদ গণেশ ধুরন্ধর
মুচকে হাসে অতুল খুড়ো
স্বপ্নে দেখি নৌকো আমার
বউ নিয়ে লেগে গেল বকাবকি
ইদিলপুরেতে বাস নরহরি শর্মা
ঘাসে আছে ভিটামিন
ভয় নেই, আমি আজ
মন উড়ুউড়ু, চোখ ঢুলুঢুলু
কালুর খাবার শখ
রাজা বসেছেন ধ্যানে
নাম তার সন্তোষ
বর এসেছে বীরের ছাঁদে
নিষ্কাম পরহিতে কে
জামাই মহিম এল
ঘাসি কামারের বাড়ি সাঁড়া
যখনি যেমনি হোক
শুনব হাতির হাঁচি
আধা রাতে গলা ছেড়ে
গুপ্তিপাড়ায় জন্ম তাহার
বেণীর মোটরখানা
নাম তার ডাক্তার ময়জন
খ্যাতি আছে সুন্দরী বলে তার
ঘোষালের বক্তৃতা
কুঁজো তিনকড়ি ঘোরে
মুরগি পাখির ‘পরে
সন্ধেবেলায় বন্ধুঘরে
সভাতলে ভুঁয়ে
নাম তার ভেলুরাম
ইঁটের গাদার নিচে
নিজের হাতে উপার্জনে
আদর ক’রে মেয়ের নাম
কন্কনে শীত তাই
খবর পেলেম কল্য
সময় চ’লেই যায়
উজ্জ্বলে ভয় তার
কনের পণের আশে
বরের বাপের বাড়ি
আয়না দেখেই চমকে বলে
বাদশার মুখখানা
আপিস থেকে ঘরে এসে
গব্বুরাজার পাতে
নামজাদা দানুবাবু
বহু কোটি যুগ পরে
আমার পাচকবর গদাধর মিশ্র
রান্নার সব ঠিক
সর্দিকে সোজাসুজি
হাস্যদমনকারী গুরু
ব্রিজটার প্ল্যান দিল
স্ত্রীর বোন চায়ে তার
ননীলাল বাবু যাবে লঙ্কা
ভোলানাথ লিখেছিল
একটা খোঁড়া ঘোড়ার পরে
থাকে সে কাহালগাঁয়
বটে আমি উদ্ধত
ভুত হয়ে দেখা দিল
পেঁচোটাকে মাসি তার
কেন মার’ সিঁধ-কাটা ধূর্তে
যে মাসেতে আপিসেতে
জমল সতেরো টাকা
বেদনায় সারা মন
ইস্কুল এড়ায়নে
দাঁয়েদের গিন্নিটি
আধখানা বেল
পাড়াতে এসেছে এক
ইয়ারিং ছিল তার দু কানেই
লটারিতে পেল পীতু
চিন্তাহরণ দালালের বাড়ি
জিরাফের বাবা বলে
যখন জলের কল
মহারাজা ভয়ে থাকে
বাংলাদেশের মানুষ হয়ে
ডাকাতের সাড়া পেয়ে
গণিতে রেলেটিভিটি প্রমাণের ভাবনায়
তম্বুরা কাঁধে নিয়ে
নিদ্রা ব্যাপার কেন
দিন চলে না যে
জান তুমি রাত্তিরে
পণ্ডিত কুমিরকে
শ্বশুরবাড়ির গ্রাম
খড়দয়ে যেতে যদি সোজাএস খুল্না
নীলুবাবু বলে
বিড়ালে মাছেতে হল সখ্য
হরপণ্ডিত বলে
ঝিনেদার জ্ঞাদনার
খুদিরাম কসে টান
প্রাইমারি ইস্কুলে
জন্মকালেই ওর লিখে দিল কুষ্ঠি
টাকা সিকি আধুলিতে
বেলা আটটার কমে
বশীরহাটেতে বাড়ি
নাম তার চিনুলাল
হাজারিবাগের ঝোপে হাজারটা হাই
স্বপ্ন হঠাৎ উঠল রাতে
পাবনায় বাড়ি হবে
বালিশ নেই সে ঘুমোতে যায়
পাঁচদিন ভাত নেই দুধ একরত্তি
মানিক কহিল পিঠ পেতে দিই দাঁড়াও
ভোতনমোহন স্বপ্ন দেখেন
গিন্নির কানে শোনা ঘটে
ধীরু কহে শূন্যেতে মজো রে
ট্রাম্ কন্ডাক্টার
মাস্টার বলে, তুমি দেবে ম্যাট্রিক
তিনকড়ি তোল্পাড়িয়ে উঠল
গাড়িতে মদের পিপে
রায়ঠাকুরানী অম্বিকা
জর্মন প্রোফেসার
হাত দিয়ে পেতে হবে
দোতলায় ধুপ্ধাপ্
কনে দেখা হয়ে গেছে
পাতালে বলিরাজার যত বলীরামরা
মাঝে মাঝে বিধাতার ঘটে একি ভুল
পেন্সিল টেনেছিনু হপ্তায় সাতদিন
বলিয়াছিনু মামারে
কাঁধে মই বলে কই ভূঁইচাপা
শিমূল রাঙা রঙে চোখেরে দিল ভ’রে
আইডিয়াল নিয়ে থাকে
খুব তার বোলচাল
আরও দেখুনঃ

