মেঘছায়ে সজল বায়ে গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেম পর্যায়ের ১০৮ নং গান | Meghchaye shojol baye রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।
মেঘছায়ে সজল বায়ে – Megh chhaye sajal baye mon amar [ রবীন্দ্রসঙ্গীত, প্রেম ১০৮ ]
রাগ: কাফি-কানাড়া
তাল: ২ + ২ ছন্দ
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩৪৪
মেঘছায়ে সজল বায়ে:
মেঘছায়ে সজল বায়ে মন আমার
উতলা করে সারাবেলা কার লুপ্ত হাসি, সুপ্ত বেদনা হয় রে॥
কোন্ বসন্তের নিশীথে যে বকুলমালাখানি পরালে
তার দলগুলি গেছে ঝরে, শুধু গন্ধ ভাসে প্রাণে॥
জানি ফিরিবে না আর ফিরিবে না, জানি তব পথ গেছে সুদূরে
পারিলে না তবু পারিলে না চিরশূন্য করিতে ভুবন মম–
তুমি নিয়ে গেছ মোর বাঁশিখানি, দিয়ে গেছ তোমার গান॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।
আরও দেখুনঃ