কবি কাহিনী কাব্যগ্রন্থ (১৮৭৮) | গ্রন্থপরিচয় ও কবিতা সূচি | পর্যায় : সূচনা (১৮৭৮ – ১৮৮১) | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবি কাহিনী কাব্যগ্রন্থটি তাঁর ষোল বছর বয়সে ১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয়। “বনফুল” কাব্যগ্রন্থটি পূর্ববর্তী হলেও, “কবি-কাহিনী”-ই তাঁর প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ। এর কবিতাগুলি “ভারতী” সাহিত্য পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে ৫৩-টি পৃষ্ঠা রয়েছে। এতে বিহারীলাল চক্রবর্তীর প্রভাব সুস্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয়। রবীন্দ্রনাথের বন্ধু প্রবোধচন্দ্র ঘোষ হলেন গ্রন্থটির প্রকাশক।

 

কাব্যগ্রন্থ - কবি কাহিনী - পর্যায় সূচনা (১৮৭৮ – ১৮৮১) - প্রকাশকাল ১৮৭৮ - - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

বিশ্বভারতী কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলী অচলিত সংগ্রহ প্রথম খণ্ডের (মাঘ ১৩৯২) গ্রন্থ পরিচয় অংশে লিখিত এই গ্রন্থ সম্পর্কিত পাঠ :

রচনার দিক দিয়া ‘বন-ফুল’ পূর্ববর্তী হইলেও ‘কবি-কাহিনী’ই পুস্তকাকারে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের সর্বপ্রথম রচনা এবং ইহা একটি সম্পূর্ণ কাব্যগ্রন্থ। সংবৎ ১৯৩৫ [৫ নভেম্বর ১৮৭৮] ইহা প্রকাশিত হয়। পৃষ্ঠাসংখ্যা ৫৩। ইহা পুনর্‌মুদ্রিত হয় নাই।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

কবি-কাহিনী প্রথম বৎসরের ‘ভারতী’র (১২৮৪ সাল) পৌষ হইতে চৈত্র সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়। কবির বয়স তখন ষোলো বৎসর। এই পুস্তক সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ তাঁহার ‘জীবনস্মৃতি’তে লিখিয়াছেন–

এই কবি-কাহিনী কাব্যই আমার রচনাবলীর মধ্যে প্রথম গ্রন্থ-আকারে বাহির হয়। আমি যখন মেজদার নিকট আমেদাবাদে ছিলাম তখন আমার কোনো উৎসাহী বন্ধু এই বইখানি ছাপাইয়া আমার নিকট পাঠাইয়া দিয়া আমাকে বিস্মিত করিয়া দেন। –প্রথম সংস্করণ, পৃ, ১০৮

এই উক্তির মধ্যে সামান্য একটু ভুল আছে; রবীন্দ্রনাথ আমেদাবাদে থাকিতে এই পুস্তক প্রকাশিত হয় নাই। ১৮৭৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি বিলাত যাত্রা করেন। ‘কবি-কাহিনী’ ৫ নবেম্বর প্রকাশিত হয়। মুদ্রিত পুস্তক তিনি দেখিয়া যাইতে পারেন নাই। রবীন্দ্রনাথ-উল্লিখিত “উৎসাহী বন্ধু”ই ‘কবি-কাহিনী’র প্রকাশক প্রবোধচন্দ্র ঘোষ।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

কবি কাহিনী কাব্যগ্রন্থ – কবিতা সূচি:

 

আরও পড়ুন:

মন্তব্য করুন